‘বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কতটা পরিবর্তন হয়েছে? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব মোশাররফ করিম বলেছেন, আমি প্রথম পাসপোর্ট তৈরি করেছিলাম ভারতে আসার জন্য। আমার তখন কৈশোর উত্তীর্ণ একটা সময়।
কিন্তু বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেই মনে হলো সেই একই দেশ। একই গাছপালা, একই খাল, একই সেতু, লোকজনের কথাবার্তার ধরনও এক। আলাদা করে কিছু বুঝি না। ’
রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা মোশারফ করিম। সেখানে তার সফর নিয়ে এই অভিনেতা বলেন, আমি এখানে বারে বারে আসতে চাই। আমার প্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। নাট্যোৎসবকে কেন্দ্র করে এত মানুষের সমাগম এটা খুবই ভালো দিক। আমি চাই আরও বেশি করে মানুষ নাটকের প্রতি উৎসাহিত হন।
পশ্চিমবঙ্গে থিয়েটার নিয়ে বলেন, আর্ট এর ক্ষেত্রে কখনোই বলা যায় না, কোনো উপায়ে কোনোটা করা উচিত। আমার কাছে মনে হয়, থিয়েটারের সাথে মন যুক্ত করাই আসল উপায়। আমাদের দেশে, আমি সিরিয়াসলি থিয়েটার করি না। ফলে সেই জায়গা থেকে পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার নিয়ে কথা বলায় আমার পক্ষে মুশকিল। তবে আমি থিয়েটারে ব্যাক করতে চাই। আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি এই থিয়েটারকে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের শোচনীয় হার এবং বাংলাদেশের উল্লাসের বিষয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নে অভিনেতা বলেছেন, আমার মনে হয় খেলা, খেলার মাঠেই থাকা ভালো। খেলা তো খেলাই। খেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে উসকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটা আসলে কারো পক্ষে সুখকর না। এই বিষয়গুলোকে আমি খুব বড় করে দেখি না। এগুলো সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে যায়। এগুলো তাৎক্ষণিক মস্তিষ্কের উত্তেজনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী তানজিন তিশার ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মোশাররফ করিম। তিনি বলেছেন, আমি একটু অন্য ধরনের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমি ততটা অ্যাক্টিভ নই।
এবারের নাট্য উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ।
ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় নিজের অভিনীত হুব্বা সিনেমা নিয়ে মোশারফ বলেন, আমি কাজ করে হ্যাপি এবং আমার পরিচালকও হ্যাপি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।