নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর সবজী বাজার। পাশে রেলওয়ে গেট বাজার এবং শহরের বাইপাস মহাসড়কের কোল ঘেঁষে কাৃচামালের পাইকারী আড়ৎ। তিন বাজারে দামের তারতম্য তিন প্রকার। মেইন আড়তে যত দাম তার চেয়ে বেশী খুচরা দোকানে। আবার খুচরা দোকানের চেয়ে আরো বেশী দাম মহল্লার দোকানে। সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজী বাজারে গেলে দেখা যায় ওই দামের তারতম্য।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে মরহুম আখতার হোসেন বাদল আধুনিক পৌর সবজী বাজার সৈয়দপুরে গেলে দেখা যায় দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বড় আলুর কেজি কমে হয়েছে ৪০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে লম্বাটা ৫০ টাকা কেজি এবং ঢেপা বেগুন মোটা ৩০ টাকা কেজি। শিমের কেজি এখনো ৬০ টাকা। যে কোন শাক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। লাউ ছোট আকারের একটির দাম ৩০ টাকা। করল্লার কেজি ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, ফুলকপি কেজি ৪০ টাকা বাঁধা কপি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ১৬০ টাকা, দেশী পেয়াজ বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে তবে বারো মিশালী পেয়াজের কেজি এখনো ১৪০ টাকা। পেপের কেজি ৩০ টাকা এবং কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা। ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি। বিভিন্ন সবজীর দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। সৈয়দপুর বাজারে এক কেজি রসুল বিক্রি করা হচ্ছে তিনশ টাকা আর আদার কেজি ৩২০ টাকা।

সৈয়দপুর কাঁচামাল ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জয়নুল হক বলেন, দাম বাড়লে আমরা কি করবো। আমরা মুল আড়তে পণ্য ক্রয় করি বেশী দামে তাই খুচরা বাজারে আমাদের বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। তারপরও দিনের মাল দিনে বিক্রি করতে না পারলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। কারণ কাঁচা মাল বেশী সময় থাকলে পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। বাজার সারতে আসা ক্রেতা সামিউল হক বলেন, কি আর করবো ভাই বাজার এলে মাথা কাজ করে না। দুই হাজার টাকা দিয়েও ছোট একটি কাপড়ের ব্যাগ ভর্তি হয় না। দাম বেশী হওয়ায় সংসারে টান পড়েছে। সপ্তাহে এখন একদিনও আমার হাড়ীতে গরুর মাংস রান্না হয় না। কারণ এক কেজি মাংসের দাম ৬৪০ টাকা। যার মধ্যে হাড় দেয়া হয় আড়াইশ গ্রামের বেশী। তাই সবজীর বাজার কম হলে সাধারণ মানুষ ভাল থাকতো।