দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে রাস্তার কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণকে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ওই কালভার্টটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর হতে দোয়াপুর যাওয়ার রাস্তায় কালভার্টটি মাঝখানে ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়-ওই রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইট-খোয়া বিছিয়ে দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত পিচ দিয়ে কার্পেটিং করা হয়নি। ইট-খোয়া বিছানো রাস্তায় চলাচল করতে জনসাধারণকে আরো অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। কতদিনে যে এ দূর্ভোগ লাঘব হবে, তা কারো জানা নেই। ওই সড়কের দুই ধারের পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েক বছর পূর্বে ওই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। কালভার্টটির নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ার কারণে কয়েক বছর যেতে না যেতেই মাঝখানে ভেঙে যায়। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই ওই সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি কৃষকেরা মাঠ থেকে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল ঘরে তুলতে ওই সড়ক দিয়ে চলতে পারেন না। কালভার্টটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে জনসাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দোয়াপুর গ্রামের কৃষক মো. নুর ইসলাম ও কেশবপুর গ্রামের হাজী আব্দুস সালামসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটি মেরামত না করায় বা পুননির্মাণ না করায় জনসাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফসলের মাঠ থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ফসলও আনা-নেয়া করতে পারি না। আমাদের বিকল্প উপায়ে ফসল বাড়িতে আনতে হয়। এতে বাড়তি ঝামেলাসহ ফসল উৎপাদনে ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। এটির দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
পুনট্টি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর এ কামাল জানান, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসিকে অনেক দূর্ভোগ ও কষ্ট করতে হয়। এলাকাবাসিকে আর যাতে দূর্ভোগ ও কষ্ট করতে না হয় সেজন্য জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে কালভার্টটি মেরামত করে দেবো।