এবার টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। যদিও আজকের ম্যাচ হারলেই সেমিফাইনাল স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তাই এ ম্যাচের টস বড় গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইংলিশদের জন্য।
প্রতিপক্ষ এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। লক্ষ্ণৌয়ের স্পিন ট্র্যাকে তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে ব্যাটারদের অফ ফর্ম নিয়ে চিন্তিত ইংলিশ শিবির। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
চেন্নাই, দিল্লী, আহমেদাবাদ, পুনে, ধর্মশালা হয়ে লক্ষ্ণৌ। বিশ্বকাপের ছয় নম্বর শহরে টিম ইন্ডিয়া ষষ্ঠ জয়ের সন্ধানে। ইতিহাস সমৃদ্ধ শহরে ভারতের পঞ্চম বৃহৎ স্টেডিয়াম। যে ভেন্যুর স্থাপত্যে নবাবী আমলের সংস্কৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট।
অনিন্দ্য সুন্দর এ স্টেডিয়ামে নির্ধারিত হতে যাচ্ছে দুই দেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য। ভারত জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত। ইংল্যান্ড হারলে আর কোনো আশা-ভরসা থাকবে না। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আসর থেকে ছিটকে ফেলার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্বাগতিকরা।
এ মাঠের উইকেট এমনিতেই স্পিন সহায়ক। যতটুকু ঘাস ছিলো তাও ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তিন স্পিনার নিয়ে ভারতের একাদশ সাজানোর সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদ্বীপ যাদবের সঙ্গে সুযোগ পেতে পারেন রবিচন্দ্রন আশ্বিন। আগের দিন দীর্ঘসময় নেটে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন এ অফ স্পিনার।
ব্যাটিংয়ে আস্থার তালিকা দীর্ঘ। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল সবাই আছেন দারুন ফর্মে। ভারতের ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল বলেন, আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে চাই না। নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে চাই। এটা ঠিক কিছু ম্যাচ ইংল্যান্ডের পক্ষে আসেনি, তার মানে এই না যে ওরা ভয়ংকর দল নয়। কিছু হোমওয়ার্ক আমরা ঠিকই করে রেখেছি।
ইংল্যান্ডের এমনিতেও সেমিফাইনালের ওঠা অনেক কঠিন। সবগুলো ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
শেষ দুই ম্যাচে দুইশ রানের কোটাও স্পর্শ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। বাটলার, লিভিংস্টোনদের ব্যাটিংয়ের দুরাবস্থা সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। মার্ক উড, ক্রিস ওকস, স্যাম কারনেরাও ছন্দহীন। দুরন্ত ফর্মে থাকা ভারতকে হারাতে ১১ ক্রিকেটারকেই সেরাটা দিতে হবে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক বলেন, বিশ্বকাপের মতো আসরে ভারতের বিপক্ষে ওদের নিজেদের মাঠে খেলা বিশেষ কিছু। অসংখ্য দর্শক থাকবে আর প্রায় পুরোটাই স্বাগতিকদের জন্য। এটা আমাদের সামনে একটা সুযোগও বটে।
ওয়ানডেতে ১০৬ বার মুখোমুখি হয়েছে এ দু’দল। ভারতের ৫৭ জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ডের জয় ৪৪। বিশ্বকাপে ৮ দেখায় ৪ জয় ইংলিশদের, ৩টি টিম ইন্ডিয়ার। একটি টাই।
ধর্মশালায় হতে হতেও হয়নি। এবার কি পারবেন বিরাট কোহলি ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯তম শতকের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করতে?