টানা চার ম্যাচ হেরে সেমিফাইনাল খেলার অসম্ভব স্বপ্ন থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় আছে বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সাকিবদের সামনে এবার নেদারল্যান্ডস। শক্তিমত্তা বিবেচনায় ডাচদের চেয়ে ঢের এগিয়ে টাইগাররা। তবে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম চিন্তার বড় কারণ। একই সঙ্গে বাড়তি চাপও আছে সাকিবের দলের। আসরে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। তবে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেই দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় অভারে আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিন। এই ডানহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপরের ফুল লেংথের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন বিক্রমজিত সিং। সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান।
পরের ওভারে আরেক ওপেনারকে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ম্যাক্সও’ডাউড। প্রথম স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ তামিম। দ্রুত দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
শুরুতে ২ উইকেট হারালেও নেদারল্যান্ডস পাল্টা আক্রমণের চেষ্টাই করছে। ও’ডাউড আউট হওয়ার পর সর্বশেষ ১৬ বলে এসেছে ৪টি বাউন্ডারি, এর মধ্যে ৩টিই মেরেছেন ওয়েসলি বারেসি, তার মধ্যে ২টি এসেছে শরীফুলের পরপর দুটি বৈধ ডেলিভারিতে।
ডাচদের চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বাংলাদেশ
কলকাতায় ডাচদের বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
তবে এরপর আবার টাইগারদের আঘাত। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল নেদারল্যান্ডস। তবে ৪১ রান করে ওয়েসলি বারোসি ফেরায় ভেঙেছে ৫৯ রানের জুটি। মুস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতি গিয়ে টপ এডজে বল সোজা ওপরে উঠে যায়, উইকেটের উপর দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নেন সাকিব।
এরপর ম্যাচে আবার সাকিবের প্রবেশ। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার লেগ সাইডের বলে যেমনটি ভেবেছিলেন অ্যাকারম্যান, তেমন গতি ছিল না। সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হলো অ্যাকারম্যানকে। ৩৩ বলে ১৫ রান করেছেন, গতি আর বাড়াতে পারেননি। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে নেদারল্যান্ডস।