রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ স্যানিটেশনে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হলেও বাংলাদেশে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন মো. সাহাবুদ্দিন।
এবারের বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘আপনার নাগালেই পরিচ্ছন্ন হাত।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস খুবই জরুরি। সরকার এ লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে।
তিনি বলেন, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে উন্নত স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, সব শ্রেণির মানুষের ব্যবহার উপযোগী পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াশব্লক, পানির উৎস ও হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিগত ১৪ বছরে স্যানিটেশনের জাতীয় কভারেজ ৯৯ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্যানিটেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা মানুষের অভ্যাস ও আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্জন ও বজায় রাখা সম্ভব। স্যানিটেশন ও হাত ধোয়া কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জনে দেশব্যাপী সুষ্ঠু স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আগামী দিনে টেকসই স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।