নীলফামারীতে শুরু হয়েছে সাতদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব।
গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনে সংসদ সদস্য ও দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।
শিল্প ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ সৃজনশীল মানবিক দেশ গঠনের লক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উৎসবের আয়োজন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
উৎসবের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেখানে ফিরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।
এ সময় শিল্পকলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে উৎবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। উদ্বোধনের সঙ্গে নতুন আশার উৎপত্তি থেকে রঙের মেলায় মেতে ওঠে শিল্পকলা চত্বর।
উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নীলফামারী জেলার সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জেলার সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রাণভোমরায় পরিণত হবে -এটাই প্রত্যাশা করি। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় উৎসব সার্থক ও সমৃদ্ধ হোক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা আহ্বায়ক আহসান রহীম মঞ্জিল।
সাংস্কৃতিক কর্মী মনিরুল হাসান আপেল ও ফারহানা ইয়াসমিন ইমুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা কালচারাল অফিসার কে এম আরিফউজ্জামান।
সভা শেষে শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জেলার ৪৫ জন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
জেলা কালচারাল অফিসার কে এম আরিফউজ্জামান জানান, সাতদিনের উৎসবে নৃত্য, যন্ত্রসঙ্গীত, ভাওয়াইয়া, লোক ও বাউল বিষয়ক সেমিনার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও থাকবে নাট্য, কবিতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব। আগামী ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় শেষ হবে জেলার তৃতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবটি।