প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেছেন, ফুলবাড়ী উপজেলা কেনো শিক্ষা নগরী হয় না? কেনো এলাকার শিক্ষার্থীদের ফুলবাড়ীর বাহিরে গিয়ে ভালো মানের শিক্ষাগ্রহণ করতে হচ্ছে? ফুলবাড়ীর শিক্ষকদের দুর্বলতা বা দৈন্যতা কোথায়? এতো বহুতল ভবন, সুন্দর সুন্দর শ্রেণি কক্ষ থাকতেও কেনো শিক্ষার্থীরা বেশি টাকা দিয়ে কি-ারগার্টেন স্কুলে পড়ছে? বাড়ীর পাশে সরকারি স্কুল বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ থাকতেও কেনো সেটি ত্যাগ করে ভালো শিক্ষার জন্য বাইরে গিয়ে প্রাইভেট স্কুলে পড়ছে? কেনো সরকারি স্কুলে অপবাদ রয়েছে যে সেখানে ভালো লেখাপড়া হয়না? বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি করছি। কিন্তু শিক্ষার মান ভালো করার কেউ চেষ্টা করছি না।
গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।
পরে বিদ্যালয় চত্বরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোছা. সুফিয়া সুলতানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, পৌর প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ চৌধুরী, বেতদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস, কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক রতন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।
এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।