সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের ১৫(ঘ) ও ১৯ অনুচ্ছেদে  সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার ও  মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন” এ আইন প্রণয়ন করেন এর পর দীর্ঘ দিন ভিক্ষুকদের নিয়ে তেমন কোন কাজ চোখে পড়েনি,স্বৈরশাসক ও বি এন পি জামায়াত জোট সরকারের আমলে যেমন বেড়েছে দুর্নীতি তেমনি বেড়েছে দারিদ্রের হার ও ভিক্ষুকদের সংখ্যা।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরতœ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই ভিক্ষুকদের প্রতি এবং তাদের পুর্নবাসনে প্রথম নজর দেন। এর পর ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেকে সামনে নিয়ে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় অন্তর্ভূক্তিমুলক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবং একই সাথে দারিদ্র্যতা নিরসন ও ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিগত ২০১০ সালের আগস্ট হতে ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেই লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ২০০০ ভিক্ষুকের পুনর্বাসন এবং পর্যায়ক্রমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন” এই লক্ষ্য নির্ধারণ করে ২০১০ সালে প্রাথমিক ধারণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। ঢাকা শহরের সকল ভিক্ষুককে জরিপের আওতায় এনে তা থেকে পাইলটিং পর্যায়ে ২০০০ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করার বিষয়টি সংযোজিত হয়।

কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১০টি এনজিও নিয়োগ করে ঢাকা শহরের দশটি জোনে একই দিনে ১০,০০০ জন ভিক্ষুকের উপর জরিপ কার্য পরিচালনা করা হয় এবং জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১০,০০০ ভিক্ষুকের ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়। ধারণাপত্রের আলোকে কর্মসূচির পাইলটিং পর্যায়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি পরিচালনার জন্য ভিক্ষুকের সংখ্যা বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও জামালপুর জেলাকে নির্বাচন করা হয় এবং প্রতিটি জেলায় ৫০০ জন করে মোট ২০০০ জনকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে “ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা গ্রহণ করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়, এছাড়া প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পরেশনে আলাদা স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদের কাজ হলো প্রকৃত ভিক্ষুক খুজে বের করা, তাদের আশ্রয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা ও ডিজিটাল ডাটাবেস সংরক্ষণ এবং প্রতি মাসে একটি সভা করা সহ ১৩ টি দায়িত্ব পালন করে থাকে।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে প্রথম বারের মত দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনও বিকল্প কর্মসংস্থানের নিমিত্ত অর্থ প্রেরণ করা হয়। ভিক্ষাবৃত্তি কখনই সম্মানজনক জীবিকা বা পেশা হতে পারে না। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্বেও এক শ্রেণির জনগোষ্ঠী শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিশেষ করে রোজা, কোরবানীর ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠাণ সামনে রেখে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে চলে আসে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলে ভিক্ষুকরা অনেক সময় যাত্রীদের বিব্রত করে এবং বিদেশি নাগরিকদের নানাভাবে উত্যক্ত করে।এ সকল বিষয়কে বিবেচনায় এনে ভিক্ষাবৃত্তিকে বন্ধ করতে হলে প্রথমেই ভিক্ষা প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতে ও  ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরনের জন্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধ পরিকর। 

ভিক্ষাবৃত্তির ইতিহাস বহু পুরানো, ১৪৯৫ বৃটিশ রাজা সপ্তম হেনরির সময় প্রচুর ভিক্ষাবৃত্তি দেখা দেয়,যার ফলে তখন আলাদা আইন প্রনয়ন করতে হয়।  প্রাচীন বাংলা ছিল অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ জনপদ। কিন্তু বিগত কলোনিয়াল ও পাকিস্তানী শাসকদের শোষণ, বঞ্চনা, লুটপাট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নদী ভাঙ্গন, দারিদ্র্য, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। তখন থেকে এ উপমহাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি ব্যপক আকার ধারণ করে। সামাজিক স্বীকৃতি না থাকলেও অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আবার অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। যারা পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছে তাদের নৈপথ্যে অর্থনৈতিক দুর্বলতা, সামাজিক নির্যাতন এবং নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জড়িত।  যারা ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। কিন্তু আইনের মাধ্যমে বা শাস্তি দিয়ে প্রকৃতভাবে অসহায়ত্বের কারণে যারা ভিক্ষাবৃত্তির চর্চা করে তাদের নির্মূল করা যাবে না,এজন্য দরকার জনসচেতনতা ও সকলের সহযোগিতা।

বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্দশায় নিপতিত নাগরিকের জন্য সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অস্বীকার করার সুযোগ নেই, বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বল্পোন্নত অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে। এ পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক ছিল নেতৃত্বের সদিচ্ছা।  বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ছিল এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধ এবং কাঙ্খিত আত্মমর্যাদাশীল জাতির সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন এবং ভূমিহীনদের জমি লিখে দিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন।

সকল শ্রেণিপেশার মানুষের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের কাঙ্খিত লক্ষ্যে উপনীত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তাই ভিক্ষুকদের আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন। দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে মুদি দোকান, ছাগল, হাঁস-মুরগির খামার, গরুর খামার, রিকশা ও ভ্যান উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে ভিক্ষা পেশা থেকে কর্মসৃজনের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়ার যে অন্যন্য নজির স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। এরা শুধু আয় করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তা নয়, দেশ ও সমাজে তাদের সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন। পেয়েছেন সমাজে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ।

ভিক্ষকুদের ভিক্ষা করা থেকে ফিরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি উন্নত জীবন গড়ে তুলতে দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সাধিত করে গ্রামকে শহরে পরিণত করেছেন। এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

ঢাকা শহরে ভিক্ষাবৃত্তি রোধের জন্য প্রাথমিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের কিছু এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- বিমান বন্দরে প্রবেশ পথের পূর্ব পাশের চৌরাস্তা,  বিমান বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশ-পাশ এলাকা, হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকা, ভিআইপি রোড, বেইলী রোড, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল রূপসী বাংলা সংলগ্ন এলাকা, রবীন্দ্র সরণী এবং কূটনৈতিক জোনসমূহ। ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকাসমূহ ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়া প্লাগস্ট্যান্ড মেরামত/নতুনভাবে স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত ভিক্ষুকদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নিমিত্তে ৫টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৬টি টিনসেড ডরমিটরি ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কাজটি পদ্ধতিগতভাবে করার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার শুধু যে ঢাকায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে তা নয়, বরং সারা দেশেই এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পেশাদার ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫ জন ভিক্ষুককে ডাব বিক্রয়ের উপকরণ, একটি করে ভ্যান ও ১০০টি করে ডাব বিতরণ, নাটোর পৌরসভা ও নাটোর সদর উপজেলার ১০জন ভিক্ষুকের মাঝে একটি করে দোকানঘরের চাবি ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান, চাঁদপুর বাগাদীতে ৪০ জন ভিক্ষুকদের পূনর্বাসনে নগদ অর্থ প্রদান, সুনামগঞ্জে ৪জন ভিক্ষুককে মুদি দোকানের মালামাল প্রদান, বাঘায় ১৪ জনকে ভিক্ষুককে ছাগল, শেলাই মেশিন, কাপড়, মুদি দোকান, বেত সামগ্রী, জুতার ও ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকান প্রদান, আলমডাঙ্গায় ৪ জন ভিক্ষুককে গরু ও ১ জন ভিক্ষুককে পাখি ভ্যান বিতরণ, নোয়াখালীর সেনবাগের নবীপুরে নগদ অর্থ প্রদান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে চার ব্যক্তিকে চার লাখ টাকা প্রদান, কুলাউড়া উপজেলার ৪০ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ছাগল বিতরণ, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ৩৫০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় ৮ জন ভিক্ষুকদের মাঝে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের গরু- ছাগল বিতরণ, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ৩২ জনকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ, গোপালগঞ্জে ছয়জন ভিক্ষুকের হাতে মোট একলাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক প্রদানসহ সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করেছে বর্তমান সরকার। বাকিদের পুনর্বাসনের কাজ চলমান রয়েছে।

সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের দেশে কোনো ভিক্ষাবৃত্তি থাকবে না। একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। দেশ চলতো বৈদেশিক দাতা সংস্থাদের অর্থে। এখন সে ধারণা পালটে গেছে। বাংলাদেশ পরের উপর নির্ভরতা হতে বেরিয়ে এসেছে।  নিজ অর্থে বড় বড় মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে সফল হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, ক্রমান্বয়ে সকল জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে, সরকার বিভিন্ন সময় ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে থাকে যা এখন ও চলমান। গত ১৫ বছরে সম পর্যায়ের যেকোন দেশ হতে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে একটা বিষয় ম্যাজিক হিসেবে কাজ করেছে আর তা হচ্ছে শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্ব।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।