প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিয়াত্তর বছর বয়স পূর্ণ করবেন। এটি কি শুধুই একটি সংখ্যা? এর মধ্যে কি কোন মহত্ব নেই? আমাদের মত সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে বয়স বাড়লেও কোন সতুন অর্জন হয় না বলেই তা একটি সংখ্যামাত্র। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মত মানুষের ক্ষেত্রে সেটি যে একটি সংখ্যা নয় তা পরিসংখ্যান। তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ওয়েবসাইট এবং সকল মিডিয়ার আশ্রয় নিলাম। উইকিপিডিয়া ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওয়েবসাইটেও সকল তথ্য না থাকায় সকল তথ্য সন্নিবেশিত করতে পেরেছি কিনা জানি না। যেটুকু পেরেছি, সেই পরিসংখ্যানই বলবে তিনি কত বড় মহিরুহ বাংলাদেশের। এই এত বছরের জীবনে তিনি অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছেন। রাজনৈতিক অনেক ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে তৈরী হয়েছেন একজন শক্ত মানুষে। তার প্রমাণও তিনি রেখেছেন তার বিভিন্ন পদক প্রাপ্তী ও অর্জনের মধ্য দিয়ে। সমালোচকরা বলতেই পারেন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন বলেই পেয়েছেন। কিন্তু না, সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখনও পদক পেয়েছেন। কমবেশী প্রায় অর্ধশতাধিক পদকের নাম পাওয়া যায়। পদকের পরিসংখ্যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আমাদের কি ধারনা দেয়? কতটা পরিপক্ক রাজনীতিবিদ তিনি? একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে গণতন্ত, শান্তি, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মত খাতে উন্নয়নের জন্য বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।
১ম মেয়াদে পদক প্রাপ্তি:
১৯৯৬সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অনেক পুরস্কার পান। তার মধ্যে অন্যতম হল ১৯৯৮ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রীকে “হোফে বোয়ানী” শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন। এছাড়াও এই সময়ে “নেতাজি শান্তি পুরস্কার” (১৯৯৭), যুক্তরাজ্যের অ্যালবার্টা ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মান সূচক “ডক্টর অব লিবারেল আর্টস” (১৯৯৭) অন্যতম। ১৯৯৭ সালে লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক “রাষ্ট্রপ্রধান পদক” এবং রোটারী ইন্টারন্যাশনালের রোটারী ফাউন্ডেশন কর্তৃক “পল হ্যারিস ফেলো” নির্বাচিত করে। ১৯৯৮ সালে নরওয়েতে মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন উনাকে “ মহাত্মা গান্ধী” পদক প্রদান করেন। ১৯৯৯ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উনাকে “দেশিকোত্তমা” ডিগ্রী প্রদান করেন একই বছরে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক “ডক্টর অব ল” ডিগ্রী প্রদান করেন। ১৯৯৯ বাংলাদেশের ক্ষুদার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কর্তৃক “সেরেস পদক” লাভ করেন। ২০০০ সালে ব্রাসেলসের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে “ডক্টর অব তানরিস কাসিয়া” প্রদান করে। একই সময়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারে অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকন উইমেন্স কলেজ “পার্ল এস বাক” পদক প্রদান করে। একই সময়ে তিনি আফ্রো এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফেডারেশন কর্তৃক “পার্সন অব দ্য ইয়ার” নির্বাচিত হন।
ক্ষমতাহীন অবস্থায় পদকপ্রাপ্ত:
২০০১ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাঁকে সম্মানসূচক “ডক্টর অব সায়েন্স” ডিগ্রী প্রদান করা হয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে ২০০৫ সালে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক “ডক্টর অব লজ” ডিগ্রী প্রদান করেন।
২য় মেয়াদে পদক প্রাপ্তি:
২০১০ সালে ১২ জানুয়ারী “ইন্দ্রিরা গান্ধী শান্তি পদক” একই বছর বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার কমানোতে অবদান স্বরুপ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-৪ পূরনে জাতিসংঘ কর্তৃক “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল” পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। একই বছর তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমির সম্মাননা সূচক ফেলোশিপ পান, একই বছর গণতন্ত্র সুসংহতকরনে প্রচেষ্টা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য প্যারিসের ডাউফিন ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপদক ও ডিপ্লোমা পুরস্কার প্রদান করে। একই বছর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, সাউথ, সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জনের জন্য “সাউথ সাউথ” পুরস্কার প্রদান করে। একই সালে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্বারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্স প্রধানমন্ত্রীকে “গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করেন। পরবর্তী বছরে তিনি ইউনেস্কো “কালচারাল ডাইভারসিটি পদক” প্রাপ্ত হন। একই বছরে তিনি বন ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য ইকুয়েটর পুরস্কার, ওয়াঙ্গারি মাথাই পুরস্কার এবং আর্থ কেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। টীকাদান কর্মসূচীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গাভি (এঅঠও) পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে সম্মানসূচক “ডিলিট” ডিগ্রী প্রদান করেন। ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য “সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, ২০১৩” প্রাপ্ত হন। সরকারের বিশেষ প্রকল্প “একটি বাড়ি একটি খামার” জন্য ভারত হতে “সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক ম্যানহাটন অ্যাওয়ার্ড ২০১৩” পুরস্কার লাভ করেন।
৩য় মেয়াদে পদক প্রাপ্তি:
২০১৪ সালে খাদ্য উৎপাদন ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ২০১৪ সালে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য ইউনেস্কো “শান্তি বৃক্ষ” পুরস্কার পান। একই সময় ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অগ্রগতি ও শিক্ষার প্রসারে অবদাননের জন্য “সাউথ সাউথ কো অপারেশন ভিশনারী অ্যাওয়ার্ড” পান। একই বছর সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য ‘সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করেণ। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইসিটির ব্যবহার জন্য “আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড” পান। এ বছরই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার “চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ” লাভ করেন। ২০১৫ সালে রাজনৈীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনে “উইমেন ইন পার্লামেন্ট গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড” দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ প্রদান করা হয় নারি ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য, একই বছর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দাতব্য সংগঠন ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’ এর পরিচালনা পর্ষদ শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্টান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পান। একই বছর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করার ইন্টারপ্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রীকে “ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড” প্রাপ্ত হন। ঐ একইি বছরে প্রধানমন্ত্রী ভারতের কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রী লাভ করেন।
৪র্থ মেয়াদে পদক প্রাপ্তি:
২০১৯ সালে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখায় ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়া উইমেন ‘লাইফ টাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পান। একই বছরে নারী ও শিশু কল্যাণে অবদান স্বরুপ ভারতের ‘ড. কামাল স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ প্রদান করা হয়। এই-সময়ই বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপক সফলতার জন্য “ভ্যাক্সিন হিরো” উপাধি পান। তরুনদের দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘চাম্পিয়ন ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননায় ভূষিত হন। একই বছর আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার-২০১৮’ প্রদান করে। ২০২১ সালে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক তাকে “এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার” প্রদান করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী প্রনয়ন ও তা বাস্তবায়নে নেতৃত্বদানে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্ন অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ “উইটসা এমিনেন্ট পারসনস অ্যাওয়ার্ড ২০২১” এ ভূষিত হয়েছেন।
উপাধি সমূহ:
শেখ হাসিনাকে দেওয়া বিশ্ববাসীর উপাধিসমূহ যুক্তরাস্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’ উনাকে ‘লেডি অব ঢাকা’ উপাধি দেন। রোহিঙ্গা ইসুতে উনাকে ব্রিটিশ মিডিয়া “মাদার অব হিউম্যানিটি” উপাধি প্রদান করেন। মিসরের রাস্ট্রদূত উনাকে “ক্যারিশম্যাটিক লিডার” বলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র তাকে “প্রাচের নতুন তারকা” উপাধি দেন। এছাড়াও “জোয়ান অব আর্ক”, “বিশ্ব শান্তির দূত”, “বিশ্ব মানবতার বিবেক”, “বিশ্ব মানবাতার আলোক বর্তিকা”, মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা”, কতশত উপাধি।
ক্ষমতাধর হিসাবে অবস্থান:
২০১৫ ফোর্বস এ প্রথম ১০০ জন সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নারীর দধ্যে ৫৯তম স্থান অর্জন। শেখ হাসিনা ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় ৭ম স্থানে ছিলেন। ২০১০ সালে নিউ ইয়ার্ক টাইমস সাময়িকী অনলাইনে জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা দশ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিল। ২০১৪ সালে এই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪৭তম।
গণমাধ্যমের তথ্য, ওয়েবসাইট এবং সকল ইন্টারনেট তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায় অর্ধ শতাধিক খেতাব ও উপাধি প্রাপ্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। উনার অর্জনসমূহ যদি সারংশ করা হয় তবে দেখা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শিশু ও নারী অধিকার ও উন্নয়নে উনার কি অসামান্য অবদান। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরনের কি বিশেষ অবদান গত টানা তিনবারের ক্ষমতায়নে। সারাবিশ্ব যার স্বীকৃতি দিয়ে আসছে টানা পনের বছর। যে উন্নয়নকে ছোট করে দেখার কত অপচেষ্টা ভেতরে ও বাইরে থেকে। মাহাথির মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন মালয়েশিয়াতে তখন কাওকে বলতে শুনিনি গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে। সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় ছিলেন দীর্ঘদিন। সেই সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর দেখেছি তার প্রতি মানুষের ঘৃণা। এখন শুনি ইরাকের মানুষের নাকি সাদ্দাম হোসেনের জন্য হাহাকার। সত্য মিথ্যা জানি না। রাজনীতি সচেতন মানুষ নই। পুতিনকে কেও বলেন না স্বৈরাচার। শুধু গণতন্ত্র খুজি এই গরীবদেশে। যেখানে সামান্য অর্থের বিনিময়েও গণতন্ত্র কেনা যায়। নিরষ্কুশ গণতন্ত্রই যদি একটি দেশের উন্নয়ন এনে দিতে পারত তবে সিঙ্গাপুর এত বড় ধনী দেশ হতে পারত না। মালয়েশিয়া ধনী দেশ হত না। তবুও এদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী। তাই সঠিক মূল্যয়নেই হোক বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারন। চাঁদেরও কলংক আছে। টানা পনের বছর একটি দল ক্ষমতায়। তাই ভুলত্রুটিও আছে। সেটি ধরে দেওয়ার জন্য একটি শক্ত বিরোধীদলও হয়ত এই মূহুর্তে প্রয়োজন একটি উন্নত বাংলাদেশের জন্য। তবে এখন পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প কেউ তৈরী হয় নাই যতই সমালোচকরা উনার সমালোচনা করুক না কেন।
লেখক: লেখক ও গবেষক। চেয়ারম্যান, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।