দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইত্যাদির চিত্র ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক শোভার লীলাভূমি নেত্রকোনায়।
এবারের আয়োজনে নেত্রকোনার সন্তান কুদ্দুস বয়াতি এবং ইসলাম উদ্দিন পালাকার যৌথভাবে তাদের পরিচিত ঢঙে নেত্রকোনা অঞ্চলের দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি।
এছাড়া নেত্রকোনা নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বিজয়পুরের স্থানীয় দুই শতাধিক গারো, হাজং এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পী। গানটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে দুর্গাপুরের নানা স্থানে।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। তিনি বলেন, ‘এবার ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল নেত্রকোনার বিজয়পুরে সাদামাটির পাহাড়ের সামনে। সবুজ বনানী, পাহাড় আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে সাজানো হয় মঞ্চটি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির চিত্র ধারণ শুরু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইত্যাদি ধারণ উপলক্ষে নেত্রকোনায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে বসেছিল জমজমাট মেলা। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় দুপুর ২টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ আশপাশের পাহাড়, গাছ ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন।’
ইত্যাদির এ পর্ব বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।