বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন-বর্তমানে চাল, ডাল, চিনি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কেউ শান্তিতে নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা সঠিকভাবে হচ্ছে না। চিকিৎসকরাও তাঁর চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তারুণ্যের অহংকার তারেক জিয়াকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার মামলা দেয়া হচ্ছে। সরকার চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার মানুষকে বিভিন্ন গায়েবী মামলা দিচ্ছে। আমরা আজ কেউ শান্তিতে নেই। বিভিন্ন গায়েবী মামলা দিয়ে সরকার আমাদের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায়। সরকার বারবার ক্ষমতায় থাকতে চায়। হাসিনার অধীনে কী কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? আমরা বারবার ঠকেছি। আমরা আর ঠকতে চাই না। আমাদের আর কেউ চুপ করে ঘরে বসে থাকলে হবে না। আমাদেরকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। আমরা নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবারের নির্বাচন চাই। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। মানুষ যাকে খুশি, তাকে ভোট দেবে।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন এবার আর করতে দেয়া হবে না। তরুণদের এগিয়ে এসে আওয়ামী লীগ সরকারকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে হবে। 

গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারুণ্যের রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এ সময় কেন্দ্রিয় বিএনপি’র কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিয়া, সাবেক এমপি এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মো. নুর-এ-আলম সিদ্দিকী নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী-বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।