প্রায় ২৫ বছর থেকে দেশী বিদেশী প্রায় ৩৫ জাতের কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হলেন দেলোয়ার হোসেন বাবলা। সে প্রতিবছরে প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা আয় করেন।
তার বাড়ী নীলফামারী সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের অচিনতলা নামক স্থানে। সে ওই এলাকার আলহাজ্ব নাসির উদ্দিনের ছেলে। কবুতর পালন করে সে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তার বাড়ীর পাশে পুকুরের উপড়ে কবুতরের ঘর রয়েছে, ঘরের ভিতরে কবুতর লালন পালনের জন্য অনেকগুলো লোহার খাঁচা রয়েছে। সেই খাঁচায় সাদা,কালো,লাল, হলুদ বিভিন্ন রংয়ের প্রায় পাঁচশতাধীক কবুতর রয়েছে। কবুতরগুলো প্রতিমাসে ডিম ও বাচ্চা দেয়। বিদেশী একজোরা কবুতর বিক্রি হয় পাঁচ হাজার টাকা আর দেশী কবুতর বিক্রি হয় পাঁচশত টাকায়। কবুতর দেশী ও বিদেশী জাতের মধ্যে রয়েছে লাক্ষ্যা,জার্মানশীল,গামাগাড়,ঝর্ণাশাটিন,মিলিরেসার,মাক্সি রেসার,ইন্ডিয়ান জিরা,টেডি,গ্রিজেল,লাল বোম্বাই,খাবির,সবজি রেচার,গিয়াচুলি,জিরাগলা,সিরাজী সহ আরো হরেক জাতের। কবুতরগুলো দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করেন তার স্ত্রী মেয়ে সহ পরিবারের সকলে।কবুতরকে খাবার দেন গম,সরিষা,ভূট্টা,ডাল,ঘাসের বিচি,মিক্সার সহ আরো অনেক। হরেক রকমের কবুতর দেখতে দুরদুরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থীরা আসেন। অনেকে পরামর্শ নেন ও কবুতর নিয়ে গিয়ে বাড়ীতে পালন করেন।
স্থানীয় ব্যক্তি মো:আইয়ুব আলী আরেফিন বলেন,কবুতরের খামারের পাশেই একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে, সেখানে আমি চাকুরী করি। কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর,কবুতর পালন করে বেকারত্ব দুর হয় ও বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। অনেকে দেখতে আসেন কবুতরগুলো,দেখার মতো হরেক রংয়ের বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন বাবলার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি ছোটবেলা থেকে কবুতর লালন পালন করি। আমি কবুতরকে অনেক ভালোবাসি। কবুতর পালনে একদিকে যেমন বেকারত্ব দুর হয় আরেকদিকে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। আমি কবুতর পালন করে বছরে কয়েক লক্ষাধীক টাকা আয় করে থাকি। আমি এখন স্বাবলম্বী হয়েছি। আমি চাই দেশের বেকারত্ব দুরকরনের জন্য কবুতর পালনে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।আমার কাছে যারা কবুতর পালনের জন্য পরামর্শের জন্য আসে আমি তাদেরকে যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। কবুতর প্রতিমাসে বাচ্চা দেয় তাই কবুতর পালন করা লাভজনক পেশা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:মো:মোনাক্কা আলী জানান,আমার খামারটি সম্পর্কে জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।