নীলফামারীর জলঢাকায় বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজি এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নিজ এলাকার পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর
রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় পরিবার। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জলঢাকা উপজেলা শাখা অফিস কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। ভুক্তভোগী পরিবার পৌর শহরের বগুলাগাড়ী এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারে সকল সদস্যবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবার পক্ষে আব্দুল্লাহ আল মামুন গনমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করে বলেন,গত ২০১৫ সালে রুহুল আমিন কাউন্সিলর পৌরসভায় ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে আমাকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ২,০০০০০/- (লাখ টাকা) গ্রহন করে এবং এই টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে কৌশলে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে। আমার চাকুরী না হলে টাকা ফেরত চাইতে গেলে রুহুল আমিন কাউন্সিলর আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় আমার পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা ভেবে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিয়ে সেখানে অবস্থান করি। এমতবস্থায় ফাঁকা স্টাম্পে আমার স্বাক্ষরের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার পরিবারের লোকজনের কাছে উল্টো টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে স্টাম্প দিয়ে মামলা করবে বলে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার পরিবারের লোকজন হুমকি ধামকি থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের প্ররোচনায় তাদের মীমাংসার প্রস্তাবে রাজি হয়। আমার বাবা সহজ সরল হওয়ায় পরের বছর ০৮-১০-২০১৬ইং তারিখে রাতে জলঢাকা পৌরসভা অফিসে বিচারের নামে কাউন্সিলর রুহুল আমিন,প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক,দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ,মুকুল চৌধুরী, ওয়াজেদসহ তার সহযোগীদের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে মিথ্যা মীমাংসা পত্র লিখে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাবার টিপসহি নিয়ে আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু আমার স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প ফেরত দেয়নি। স্টাম্প ফেরত দিতে আজ কাল করে কালক্ষেপন করতে থাকে। এমতাবস্থায় ২৭-০৪- ২০১৭ইং তারিখে রুহুল আমিন তার শ্যালক মিজানুরকে বাদি করে আমাদের উপর ৪ লাখ টাকার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-সিআর-৪২/১৭। এই মামলাটি মিথ্যা হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পরবর্তীতে মামলাটি ২০২২ সালে খারিজ করে দেন। এই মামলা চলাকালে কাউন্সিলর রুহুল আমিনের ইন্ধনে ০৯-১২-২০১৯ইং তারিখে ১৮০/১৯ নং পিটিশন মামলায় আমাকে ৫ নং আসামী করে হাজতে পাঠায়। পরে পিবিআই চুড়ান্ত তদন্তে মামলার সাথে আমার কোন রকম সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পাই। পরে ১০-০২-২০২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে আমার স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প উদ্ধারের জন্য রুহুল আমিন কাউন্সিলর সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ২১-০৩-২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-৩৫/২৩। বর্তমানে মামলাটি চলমান আছে। আমার মামলার দুইদিন পর রুহুল আমিন কাউন্সিলর মামলা থেকে বাঁচতে ও টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে একটি মিথ্যা জমির দলিল বানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় আবারও আমাকে বগুলাগাড়ী ধওলার বাজার হতে জলঢাকা থানা পুলিশ কোন কারন ছাড়াই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আমার বাবা আমাকে দেখতে আসলে হয়রানি মূলক কাউন্সিলর রুহুল আমিনের দায়ের করা একটি মিথ্যা প্রতারণা মামলায় বাবাকে সহ গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। যার মামলা নং-৫৯/২৩ইং। এ মামলায় ২ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ০২-০৮-২০২৩ইং তারিখে বগুলাগাড়ীর মরহুম রশিদুল ইসলাম চৌধুরীর মাঠে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসি বৈঠক বসায়। এতে রুহুল আমিন কাউন্সিলর উপস্থিত জনসম্মুখে তার ভুল স্বীকার করে এবং মিথ্যা মামলা তুলে নেয়ায় অঙ্গিকার করেন। কিন্তু রুহুল আমিন কাউন্সিলর স্থানীয় বিচারে মামলাবাজ প্রমানিত হওয়ায় মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে প্রশাসনকে মেনেজ করে তার অভিযোগ মুলে১৪-০৮-২০২৩ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় স্থানীয় পুলিশ সোর্স আব্দুর রাজ্জাক, পুলিশের পোশাকধারী এসআই উজ্জ্বল শাহ্ সহ তার সঙ্গী ফোর্স নিয়ে আমার সয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার ঘরে থাকা ল্যাপটপ ও গচ্ছিত রাস্তার কাজ বাবদ ২০ হাজার টাকা জব্দ করেন এবং রেকর্ডভুক্ত মামলা ছাড়া আমাকে জোর পূর্বক নিয়ে যেতে চাইলে আমার স্ত্রী কারন জানতে চায়? এসময় দায়িত্বীরত পুলিশ আমার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যেয়ে জানতে পারি কাউন্সিলরের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামী নাহিদ হাসান মিঠু এর তথ্যমতে রুহুল আমিন কাউন্সিলরকে হত্যার হুকুম দাতা হিসেবে আমাকে তুলে আনা হয়েছে। এনিয়ে পরের দিন রুহুল আমিন কাউন্সিলর হত্যার হুকুম দাতা অর্থাৎ আমার ফাঁসি চেয়ে তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে থানা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। যাহা একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এসব মিঠুর দেয়া তথ্য ভুল প্রমানিত হওয়ায় এস আই উজ্জ্বল শাহ্ সোর্স আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে আমাকে ছেড়ে দিবে মর্মে আমার পরিবারের লোকদের কাছে ৮০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেয়ার পরেও ছেড়ে না দিয়ে একটি পেনডিং চুরি মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। যার মামলা নং-জিআর-১৬৩/২৩। এই মামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। কিন্তু আমাকে হাজতে পাঠানোর সময় আমার ল্যাপটপ ও টাকার জব্দ তালিকা দেখায় নি থানা পুলিশ। আমি হাজতে থাকা অবস্থায় ২৬-০৮-২০২৩ইং তারিখে প্রতিবেশী জমির উদ্দিন (ভাষা) সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আবারও পূর্বের মামলা ৫৯/২৩ এর মীমাংসা বাবদ রাজারহাট মাঠে ৪০ হাজার টাকা নেয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও তার সহযোগীরা। এভাবে রুহুল আমিন কাউন্সিলর দীর্ঘদিন হতে আক্রশবসত বিভিন্ন ভাবে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করে আসতেছে। এ অবস্থায় আমি এখন বাড়িতে থাকতে পাচ্ছি না। এতে আমার পুরো পরিবার মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ রকম হিংসাত্মকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নাই। বর্তমানে আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তেছি। আমি ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং কাউন্সিলর রুহুল আমিন সহ তার সহযোগীদের হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমি সহ আমার পরিবার নিরাপদ জীবন চাই।