রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত হয়ে আসবে। বিএনপিও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আস্থায় নেবে এবং নির্বাচনে আসবে বলে আশা করছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সব সময় বলি, বিশ্বাস করি—এসব প্রশমিত হয়ে আসবে।
আল্টিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।
রবিবার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করেছি। অনেকটা এগিয়েও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) কমিশন সভায় উঠবে।
এটা শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ জন্য কেন্দ্রের তালিকার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারি বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে।
আগের মতো পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবেন তারা।
রাশেদা সুলতানা বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিয়োগ দেব না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে পর্যবেক্ষকরা আসবেন। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।
কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানান কমিশনার।