নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শিশু কন্যা অঞ্জলী রাণী। পিতা মাতা অতি আদরের মেয়ে সে। কিন্তু সম্প্রতি তার হৃদপিন্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। তার অপারেশনের জন্য ৭/৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ভূমি ও গৃহহীন বাবার পক্ষে অপারেশনের জন্য ওই পরিমাণ টাকা যোগাড় করা অসম্ভব।
সৈয়দপুর শহরের কুন্দল কলেজপাড়া (মুচিপাড়া) এলাকার রাজ দাস ও ববি দাসের মেয়ে অঞ্জলী রাণী। ওই দম্পতির তিন মেয়ে সন্তান মধ্যে মেঝো সে (অঞ্জলী)। সে তাদের ভাড়া বাড়ির পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তা বাবা রাজু দাস পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি শহরের উল্লিখিত এলাকায় বাড়ি ভাড়ায় থেকে অন্যের ফার্নিচারের দোকানে দিন হাজিরায় কাজ করেন। তাঁর প্রতিদিন কাজ করে যে যৎসামান্য আয় হয়, তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে চার সদস্যের পরিবারের তিন বেলা খাবার জোটেনা। তারপরও দুই মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে মেঝো মেয়ে অঞ্জলীর অসুস্থতা দেখা দেয়। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাহিদ বসুনিয়ার শরনাপন্ন হন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্কুল ছাত্রী অঞ্জলীর হৃদপিন্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে। এ অবস্থায় চিকিৎসক শিশু কন্যা অঞ্জলীর জরুরীভিত্তিতে হৃদপিন্ডে অপারেশনের পরামর্শ দেন। এতে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এদিকে, চিকিৎসা অভাবে মাঝে মধ্যে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে। খাবার পর পরই বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। এ অবস্থায় হতদরিদ্র বাবা রাজু তাঁর শিশু কন্যাকে নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন। কি করবেন, কোথায় যাবেন ভেবেচিন্তে কুলকিনারা পাচ্ছে না। এখন অসুস্থ মেয়ের অপারেশনে জন্য উল্লিখিত পরিমাণ টাকা কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন এমন চিন্তায় শিশু অঞ্জলীর গরীব বাবা-মা এখন পাগলপ্রায়। তাদের অভাবী সংসারে তেমন কোন সহায়-সম্পদও নেই যে তা বিক্রি করে মেয়ের অপারেশন করাবেন। আর তাঁদের চোখের সামনে অতি আদরের মেয়েও শারীরিকভাবে দিন দিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় তাঁর পিতা-মাতা তাদের অসুস্থ ময়ের চিকিৎসায় সমাজের সহৃদয়বান, বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের কাছে সাহায্যে হাত বাড়িয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রাজু দাস, মহল্লা: কুন্দল কলেজপাড়া (মুচিপাড়া), পোষ্ট ও উপজেলা: সৈয়দপুর, জেলা নীলফামারী। মোবাইল: ০১৯৩৯-৫০২৬১৩ (বিকাশ)।