নীলফামারীর সৈয়দপুরে সোমবার (১৪ আগস্ট) তানজিমুল আলম তমাল (২৩) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের প্রামানিকপাড়ার বাসিন্দা ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর একমাত্র পুত্র। সোমবার সকালে বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরপাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের দাবী তমালকে হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, তমাল কয়েক বছর শহরের শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক রোডের রেইনবো ওয়েডিং এ ফটোগ্রাফির কাজ করতো। পরবর্তীতে আউটিসোর্সিয়ের কাজের সাথে যুক্ত ছিল।
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাবলু বলেন, রবিবার সকালে তমাল তার মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হযে যায়। দুপুরে মোবাইলে তার মাকে জানায় আমাকে কেউ হয়তো কিছু খাইয়েছে। তাই আমার মাথা ঘুরছে। আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। এরপর আর কোন কথা হয়নি এবং রাতে বাড়িতেও ফিরেনি। মোবাইলে যোগাযোগ ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাইনি। এমতাবস্থায় আজ (সোমবার) সকালে বাড়ির পাশেই একটি মাটি কাটা নিচু জমিতে তার রক্তাক্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী খবর দেয়। এসে দেখি আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে। রাতে নিশ্চয়ই কেউ তাকে হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে গেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।
এলাকার ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি লাশ পুকুরে ভাসছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। মৃতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। আমরা এই হত্যাকন্ডের বিচার দাবি করছি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে এটি হত্যাকান্ড কিনা। তার বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।