বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে কৃষিকাজে এগিয়ে আসছে নারীরা। তারা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে রবি শস্য উৎপাদন,মৎস্য চাষ বনায়নসহ কৃষিক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা বিশেষ অবদান রাখছে। কৃষি কাজের ক্ষেত্রে সমান অবদান রাখলেও মজুরীর ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছে তারা। কৃষিক্ষেত্রে পুরুষের সমপরিমান কাজ করলে মজুরীর বেলায় তারা পুরুষের চেয়ে অর্ধেক টাকা পাচ্ছে। কাজের বেলা পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা পুরো কাজ করলেও দিনশেষে মজুরী বৈশম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা।
শনিবার সরেজমিনে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা আমন ধানক্ষেত নিরানীর কাজ করছে। এ সময় একাধিক নারী শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, শুধু আমন ধান নিরানি করা নয়, ফসলের ক্ষেতে ধানের বীজ বপন করা,ক্ষেতে সার দেয়া, কীটনাশক ছিটানো, ধাঁন কেঁটে ঘরে তোলাসহ সব কাজে নারীরা পুরুষ শ্রমিকের সাথে তাল মিলিয়ে করছে।
কিশোরগঞ্জ কেশবা গ্রামের এক নারী শ্রমিক বলেন , আগে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চা চাষ ছিলনা। বর্তমানে এ উপজেলায় চায়ের চাষ হচ্ছে। চা বাগানের চারা রোপন, নিরানী করা , চায়ের পাতা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কাজ আমরা পুরুষের পাশাপাশি করছি কিন্তু দিন শেষ পুরুষ শ্রমিকের মজুরী ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। আর আমাদের নারীদের মজুরী ২৫০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডি দপ্তরের বাস্তবায়নাধিন আরএমপি প্রকল্পের এক মহিলা শ্রমিক বলেন, আমরা সারাদিন সড়কের ভাঙ্গাচোরা অংশে মাটি কেঁটে দিন শেষে ২৫০ টাকা মজুরী পাই। আর পুরুষ শ্রমিকরা সড়ক নির্মান কাজ করে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৭ শ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। আমরা পুরুষের চেয়ে কম কাজ করি নাকি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, নারীরা পুরুষের তুলনায় ভালই কাজ করেন। কিন্তু পুরুষ শ্রমিকরা যে টাকা পায় নারীরা তাঁর অর্ধেকও পায়না। নারীদের বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। বিষয়টি শ্রম মন্ত্রনালয়ে জানানো হবে।