নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসটি ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। পশুর চিকিৎসা করানোর পর পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিদিষ্ট জায়গায় না রেখে যততত্র ফেলে রাখায় মশা মাছি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লাম্পিস্কিন ডিজিজ ভাইরাসে আক্লান্ত গরুর চিকিৎসা নিতে এসে রোগ সরানোর পরিবর্তে রোগের জিবানু নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে বলে জানান গরুর মালিকগন। ফলে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগটি আরো প্রকট আকারে ছড়িয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্লান্ত গরু নিয়ে বেশ কয়েকজন গরুর মালিক গরুর চিকিৎসা করানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান প্রাণীসম্পদ অফিসের লোকজন গরুর চিকিৎসার আগে পরামর্শ দেন গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হলে গরুুর থাকার জায়গা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই রোগ নাকি মশা মাছির কারনে বেশি ছড়ায় । এসময় একজন প্রাণী সম্পদ অফিসের মুল ভবনের দক্ষিন দিকে নিয়ে যান। সেখানে দেখা যায় গরুর কৃত্রিম প্রজজন কেন্দ্রের ঘরটির অবস্থা একেবারেই জরাজীর্ণ। ঘরটির চারিদিকে ময়লা আবজর্নার স্তুপ। আরো একটি ছোট্ট্র ঘরের ছাদের উপরে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে গবাদী পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সিরিঞ্জসহ অন্যান্য চিকিৎসার সামগ্রী।
নিতাই ইউনিয়ন থেকে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিতে আসা গরুর মালিক ছাবেদুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই ঘন্টাহল গরুর চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু এসে জানলাম ভ্যাটেনারী সার্জন উপজেলায় মিটিং করতে গেছে। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা গরু নিয়ে বসে আছি আর ডাক্তার মিটিং নিয়ে ব্যাস্ত।
পুটিমারী ইউনিয়নের শালটিবাড়ি গ্রাম থেকে গরুর চিকিৎসা নিতে আসার গরুর মালিক রোজিনা বেগম বলেন, ডাক্তার নাই তাই বাধ্য হয়ে কমপাউনডারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছি।
ডাক্তার না থাকায় পশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে প্রশ্ন করলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আজীজ বলেন , আমি একটু অসুস্থ তাই ভ্যাটেরেনারী সার্জেনকে মিটিংয়ে পাঠিয়েছি।