লিটন-আফিফের ব্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। সিরিজের দুই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করে সাকিব-লিটনরা। তৃতীয় বার এসে আফগানিস্তানকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। ৯.১ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন দুই জন। নবম ওভারেই সাজঘরে ফিরেন দুজন।
৩৬ বলে লিটন দাস করেন ৩৫, আফিফ করেন ২০ বলে ২৪ রান। তিনে নামা শান্ত ফের ব্যর্থ, ফিরেছেন মাত্র ৪ রানেই। লিটন-আফিফের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাকিব ও হৃদয়। তাওহিদ হৃদয়ের ১৯ ও সাকিবের অপরাজিত ১১ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
এর আগে, বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১৯ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ২০ ওভারের পরিবর্তে ১৭ ওভারের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট লাভ করেন তাসকিন।
বল হাতে বাংলাদেশকে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন। গুরবাজ এবং জাজাইকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেন তাসকিন। টাইগার এই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরই সিলেটে হানা দেয় বৃষ্টি।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ৩ ওভার কমিয়ে পুনরায় মাঠে গড়ায় ম্যাচ। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নবিকে আউট সাইড এজ বানিয়ে আউট করেন মুস্তাফিজ। এরপর জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। ইব্রাহীম জাদরানের পর নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও ফেরান তিনি।
শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে করিম জানাতকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন। শেষ পর্যন্ত রশিদ খান ৬ ও মুজিবউর রহমান ১ রান করে অপরাজিত থাকে।