দিনের শুরুতেই বৃষ্টির হানা। তাই বল মাঠে গড়াতে হয়েছে বিলম্ব। কাটতে হয়েছে ওভার। ৪৪ ওভারে নেমে আসে প্রথম ওয়ানডে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। খেলতে নেমে শুরুতেই দুই টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে। তবে হাল অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ফারজানা হক সেই চাপ সামলে উঠেন। তবে তাদের বিদায়ের পর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। তাতে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
মেঘলা আবহাওয়ার দিনে প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারি বোলাররা ভালোই চেপে ধরেছিলেন স্বাগতিক ব্যাটারদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিগার সুলতানাদের। অষ্টম ওভারে রানআউটে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। ১৮ বলে কোনো রান না করেই আউট হন শারমিন আক্তার। পরের ওভারে আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন।
তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন নিগার ও ফারজানা। দুজনে মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙেন আমানজত কৌর। তার বলে খেলতে গিয়ে এডজ হলে ক্যাচ ধরেন উইকেট কিপার যস্তিকা ভাটিয়া। ফেরার আগে ৪৫ বলে ৫ চারে ২৭ রান করেন ফারজানা। পরে রিতু মনির সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়েন নিগার। কিন্তু সেটি দীর্ঘ হয়নি। তার আগেই রিতু ফিরে যান দেবিকা বৈদ্যের শিকার হয়ে।
৮১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর রাবেয়া খানকে নিয়ে গড়েন ২২ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙে টাইগ্রেস অধিনায়কের বিদায়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। ৬৪ বলে ৩ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
অধিনায়কের বিদায়ের পর শুরু হয় যাওয়া আসার মিছিল। তবে শেষ বেলায় সুলতানা খাতুন ২০ বলে ১৬ রান করে আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার। অন্যদিকে উইকেট আগলে রেখেছিলেন ফাহিমা খাতুন। ২৯ বল বল খেলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই অপরাজিত থাকেন ১২ রানে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আমানজত কৌর। ৯ ওভারে ২ মেডেনসহ খরচা করেন ৩১ রান। এছাড়া এছাড়া দীপ্তি শর্মা তিন মেডেনসহ ২৬ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। দুই উইকেট শিকার করেন দেভিকা বৈদ্য।
জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে হলে ভারতকে করতে হবে ১৫৩ রান।