নীলফামারী সদরে রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামে (মাস্টার পাড়া) জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। এতে বাদী পক্ষের (দুইজন) সেরিনা ও ছেলে সুমন গুরুতর আহত হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকালের দিকে বিবাদীর বাড়ীর সামনে পেয়ে ওই দুইজনকে বেধরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আসামিরা হলো আব্দুর রউফ (৪৬), আশরাফুল কবির আশিক (২৩), মোছা. আখিঁ বেগম (৩৮), মো. আব্দুল হাই (৫৪), আলিফ (১৮), মোছা, জেসমিন বেগম (৪২)।
এ ব্যাপারে, সেরিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা নং-১৪/২৩। এ ঘটনায় বাদী গত সোমবার (৩ জুলাই) একটি সাধারন ডাইয়েরীও করেন। যার নং-১৬৩/২৩।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ এ ফোন আসলে সেখানে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বাদির একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল বাহালীপাড়া মাষ্টার পাড়া গ্রামের সেরিনা বেগম ও বিবাদী আব্দুর রউফের পরিবারের সাথে। ওই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকালে বিবাদী ১০-১২ জন লোক নিয়ে বাদীর জমিতে এসে মাটি ফেলা বন্ধ করাসহ গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর প্রতিপক্ষকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীর লোকজন বাড়ীর সামনে পেয়ে বেধরক পিটিয়ে ফুলা জখম করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সেরিনা ও সুমনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেরিনা বেগম জানান,‘আমাদের বাড়ির সামনে আমার ভাইয়ের বিনিময়কৃত (দলিল নং-৩৭৮৪) ৭ শতাংশ জমি নিয়ে রউফের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দিতেও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। তবে মামলার পর থেকে আব্দুর রউফ ও তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।’
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমাদের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমি এ পর্যন্ত অনেক ঘটনা শুনেছি ও দেখেছি কিন্তু একজন মহিলাকে নির্মমভাবে পিটাবে কখনো দেখি নাই। তাকে বিবস্ত্র করে শ্লিলতাহানি করেছে। এটা করাটা মোটেই ঠিক করেনি।’
এ বিষয়ে ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। ওখানে ৯৯৯ এর ফোনে পুলিশ সদস্যরা গিয়েছিল। ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত এজাহার দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’