স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের ৫ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি আমরা শুনেছি। এই বিষয়ে বিস্তারিত আরও জানতে হবে। আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ শুরু করছে আরও তথ্য জানার জন্য। এই ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার ( ৯ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এনআইডি বা জাতীয় পরচিয়পত্র আমাদের অধীনে কিন্তু এখনো আমরা কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনো এই কার্যক্রম আমাদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতেই রয়েছে। আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শিগগির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৫ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি কী ঘটেছে, কতখানি ফাঁস হয়েছে—আমরা অবশ্যই দেখব। যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৫ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটিতে ঢুকে ৫ কোটি নাগরিকের নাম, জন্মতারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন।
গত ২৭ জুন এটি দেখতে পান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। তার বরাতে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ।