সাফ ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলো স্বাগতিক ভারত। ব্যাঙ্গালুরুতে হাইভোল্টজ ফাইনালে অতিথি দল কুয়েতকে হতাশায় ডুবিয়ে, সাডেন ডেথে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে সাডেন ডেথে ৫-৪ গোলে জয় নিশ্চিত করে ভারত। অপরদিকে সেমিতে বাদ পড়লেও অসাধারন নৈপুন্যের জন্য এবার সাফের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের আনিসুর রহমান জিকো।

টুর্নামেন্টর সেরা দুই দলের ফাইনাল, উত্তাপ ও উত্তেজনার কমতি ছিল না। দু দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলায়, বেশ জমে ওঠে ম্যাচ। ১৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে আল খালদির গোলে এগিয়ে যায় ১৯৮২ বিশ্বকাপে খেলা কুয়েত।

তবে গোল খেয়ে জ্বলে ওঠে ভারত। গ্যালারিতে ২৬ হাজার স্বাগতিক দর্শকের একচেটিয়া সাপোর্টে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেইনি ভারতীয়রা। মনিপুর রাজ্যের ২৫ বছরের তরুণ ফুটবলার ছাঙতেক গোল করে সমতা আনেন। মাত্রই আগের দিন ভারতের বষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ছঙতেক। ঐ উপলক্ষটা দারুণভাবে উদযাপন করলেন ভারতীয় ফুটবলের নতুন এই তারকা। এরপর নির্ধারিত নব্বই মিনিটসহ ইনজুরি সময় এবং অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও কোন দল গোল করতে না পারলে, খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানে দুদলের প্রথম ৫টি শট ৪-৪ গোলে সমতা থাকায়, সাডেন ডেথে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ভাগ্য। সাডেন ডেথে প্রথম শটে ভারত গোল করলেও, কুয়েতের শট দারুণভাবে রক্ষা করে দেশকে সাফ ফুটবলে নবম শিরোপা উপহার দেন ভারতের তারকা গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং। ৫ গোল করে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।