সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হবে না এবং সরকার বিএনপিকে স্থানীয় ভাবে হয়রানি করছে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। সরকার বেশামাল অবস্থায় তাই সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। সম্প্রতি দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরকারী ত্রাণ লুটপাট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান। মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ৩ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াছির, রংপুর সিটি মেয়র ও মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, রংপুর-২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব আনিছুল হক মন্ডল, নীলফামারী জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ পারভেজ, সৈয়দপুর উপজেলা একাংশের সভাপতি ও শিল্প পরিবার ইকু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিব খাঁন অপর অংশের সভাপতি কাজী ময়নুল হক, রংপুর মহানগর যুবসংহতি সভাপতি ফাহিম হোসেন।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অধিকার আদায় এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা সরকারের অপকর্মের বিরোধিতা করছি। আগামী নির্বাচনে আসন বৃদ্ধির জন্য নয়। দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াই মূলতঃ রাজনীতিকের কাজ। সংসদে ও রাজপথে সমানতালে এই দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচন একতরফা হলেও ২০১৮ এর নির্বাচন অনেকটা অংশগ্রহণমূলক ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। জনগণ অসহনীয় দূর্ভোগ দূর্দশায় দিনাতিপাত করছে। নিত্যপন্যসহ জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা মনে করি সরকার বিরোধী দল গুলোকে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ তৈরি করে দিলে দেশে শান্তি থাকবে না হলে রাজনীতি পরিবেশ নষ্ট হবে এবং দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে ।