নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ,বাসায়নিক সার ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ/২০২৩-২৪ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ (নাবী) ও রোপা আমন ধান (উফশী জাত) আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ওই সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রবিবার (১৮ জুন) বিকেলে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়রাম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দিয়ে বিতরণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।
 সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ফয়সাল রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ  মো. সালাহউদ্দিনের সঞ্চালনায় উ™ে¦াধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী এম এম আলী রেজা রাজু, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইমরান সরদার ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক বিধান রায় প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ (নাবী) বীজ এবং ৯০০ জন কৃষক-কৃষাণীর মধ্যে রোপা আমন ধানের বীজ বিতরণ করা হবে।
প্রতিজন কৃষক গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ (নাবী) আবাদের জন্য এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার এবং চারা উৎপাদন খরচ বাবদ ৫ হাজার ৩৮৪ টাকা  পাবেন।
 অন্যদিকে, রোপা আমন ধান আবাদের জন্য প্রতিজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি উফশী আমন ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন।