টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।
১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে আজ শনিবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করেছিল আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারেই এবাদত হোসেন সাফল্য উপহার দেন।
তার বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন নাসির জামাল (৬)। এরপর মঞ্চে শরীফুলের আবির্ভাব। তার বলে মেহেদি মিরাজের হাতে ধরা পড়েন আফসার জাজাই (৬)। এভাবেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান।
বাহির শাহ (৭) শরীফুলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে ২০.৫ ওভারে ৭৮ রানে তারা পাঁচ উইকেট হারায়। আফগানদের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন আহমেদ।অনেকটা সময় উইকেট আগলে রাখা রহমত শাহ (৩০) ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাসের গ্লাভসে। ফিরতি ওভারে এসেই করিম জানাতকে (১৮) বোল্ড করে দেন তাসকিন। পেসারদের দাপটের পর মেহেদি মিরাজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক লিটন।
মিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন আমির হামজাকে (৫)। ক্যাচের আবেদনে আম্পায়ার প্রথমে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় বাংলাদেশ। খেলা শেষের প্রত্যাশায় মধ্যহ্ণ বিরতি আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমিন আহমেদজাইকে (১) মুশফিকের তালুবন্দি করে চতুর্থ শিকার ধরেন তাসকিন।
পরের বলেই জহির খানকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেনি। অবশ্য ততক্ষণে পাঁচ উইকেট শিকারের উদযাপন করে ফেলেছিলেন তাসকিন। পরের বলে আবারও তাকে হতাশ হতে হয়। তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ফুলটসে জহির খানের (৪) স্টাম্প ছত্রখান করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু সেটাকে নো বল ডাকেন আম্পায়ার। ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট বল। যেটি গিয়ে জহিরের কনুইয়ে লাগে। তিনি আর ব্যাটিং করার অবস্থায় ছিলেন না। তাই ৯ উইকেটে ১১৫ রানেই শেষ হয় আগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশ পায় ৫৪৬ রানের বিশাল জয়। ৯ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৮ রানে ৩টি নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এছাড়া ১টি করে নিয়েছেন ইবাদত হোসেন আর মেহেদি মিরাজ।