বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও, সেটা সামাল দেওয়া গেছে। সামনে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
নসরুল হামিদ বলেন, পরিবেশবাদীরা অনেক কিছুই বলে। কয়লার মাধ্যমে উৎপাদন তো বন্ধই আছে। এখন ওনারা কী বলবেন? পরিবেশবাদীদের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া। কয়লার উৎপাদন বন্ধ রেখে দেখছি কী হয়। তারা বলতো কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সুন্দরবনসহ অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ নেবো। সেই বিদ্যুতের দাম প্রায় ২১ টাকার ওপরে পড়বে। সরকার এখানে একটা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেবে। আর বড় বিষয় হলো, বর্জ্যের একটা ব্যবস্থা হবে। ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্ল্যান্ট থেকে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, আমিন বাজার ল্যান্ড ফিল্ডের কাছে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। এছাড়া আর কোনো ব্যয় নেই এই প্ল্যান্টে। চীনের প্রতিষ্ঠান ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। যা থেকে ৩ হাজার টন বর্জ্য প্ল্যান্টে দেওয়া হবে।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে ২১ টাকার বেশি খরচ পড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।