তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি বলেছেন, প্রথম পর্যায়ে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সে জয় SET সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এটি ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি স্মার্ট সার্ভিস, এমপ্লয়মেন্ট এণ্ড ট্রেনিং সেন্টার। এটির মূল উদ্দেশ্য তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফুলবাড়ীর ছেলে-মেয়েরা ফুলবাড়ীতে বসেই যাতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। এ থেকে তারা ইউরোপ, অস্ট্রোলিয়ার বড়বড় কোম্পানীতে অনলাইন মার্কেট প্লেসের কাজ করতে পারে। এসএসসি বা এইচএসসি পাশ করার পর আমরা যদি শিক্ষার্থীদের এখানে ৩ মাসের কোর্স বা ৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করাতে পারি তাহলে কাউকে আর ঢাকা বা বিদেশমুখী হতে হবে না। তারা নিজ বাড়ীতে বসেই আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারবে। এই আধুনিক কনসেপ্ট (ধারনা) নিয়েই সারা বাংলাদেশে ৫৫৫ টি জয় SET সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আর্কিটেক তারুণ্যের গর্ব সজিব ওয়াজেদ জয় এঁর নির্দেশনায় তরুণ-তরুণীদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের ঠিকানা হবে জয় SET সেন্টার। দেশের ৫৬ টি মন্ত্রণালয়ের ২৫০ অধিদপ্তরের স্মার্ট সরকারি সেবা জয় SET সেন্টারে মিলবে। ফুলবাড়ীর লাখ লাখ জনগণ তারা উপজেলা কমপ্লেক্সে এসে একটি স্থানেই ৫৬ টি মন্ত্রণালয়ের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। সেজন্য এটির নামকরণ করা হয়েছে স্মার্ট সার্ভিস, এমপ্লয়মেন্ট এণ্ড ট্রেনিং সেন্টার।
গতকাল রবিবার (১১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ ভবনে জয় SET সেন্টার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউডিসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব প্রণব কুমার সাহা, সহকারী প্রকল্প পরিচালক প্রোগ্রামার ওয়াদুদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী, দিনাজপুর আইসিটি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার তাহনিয়াতুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল, থানার অফিসার ইনর্চাজ আশ্রাফুল ইসলাম, দিনাজপুর সদর সহকারী প্রোগ্রামার রুবেল মিয়া, ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার তসলিমা খাতুন লিপি প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি আরো বলেন, জয় SET সেন্টারটি স্মার্ট ইকোনোমিক হাব-ও হবে। আমাদের ই-কমার্সের যেগুলো পণ্য ডেলিভারি এবং গ্রহণ অর্থাৎ টপআপ এবং পিকআপ পয়েন্ট হিসেবে এটি কাজ করতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য আছে যে, আগামী ২ বছরের মধ্যেই সারাদেশে ৫৫৫টি জয় SET সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ করা। তবে প্রথম পর্যায়ে ফুলবাড়ী জয় SET সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু এবং শেষ হবে। বর্ষীয়ান নেতা ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি উদ্যোগটি নিয়েছিলেন বলেই এই সেন্টারটি প্রথম পর্যায়ে ফুলবাড়ীতে স্থাপন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি মাত্র ১৪ বছরেই স্বল্পনোত দেশকে একটি প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যমআয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন ৪১ আমাদের সামনে দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করি যে আমাদের জয় SET সেন্টার থেকে ফুলবাড়ীর হাজার-হাজার, লাখ-লাখ তরুণ-তরুণী তারা প্রশিক্ষণ পাবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
এ সময় বিভিন্ন দফতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।