চিলাহাটি থেকে আন্তঃনগর নীসাগরের এর পর দ্বিতীয় আরেকটি চিলাহাটি- ঢাকা দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল রবিবার ৪ঠা জুন নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা সীমান্তবর্তী স্টেশন চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে দিবাকালীন দ্বিতীয় ট্রেনের সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সময়ে চিলাহাটি প্রান্তে উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী ২ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী ১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ রাবেয়া আলিম, রেলওয়ে মহাপরিচালক, জেনারেল ম্যানেজারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ, এছারা রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, পুলিশের ডিআইজি রংপুর,পুলিশ সুপার নীলফামারীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মি, সুধিজন ও আমন্ত্রীত অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন যে, রেলের জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের জন্য অনেক ট্রেন চালু করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে আরও রেলের জন্য নতুন বাজেট দিয়ে ডাবল লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। তখন ট্রেন চলাচল আরো উন্নত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিলাহাটি প্রান্তে রেলমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন,চিলাহাটি থেকে ২টি ট্রেন চালুর সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করা হল, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলে মানুষ সল্প সময়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যেমে নিজ গন্তব্যে পৌছাতে পারবে। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রেল সচিব ডঃ হুমায়ুন কবির,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটির হুইসেল বাজিয়ে ও পতাকা নেড়ে ট্রেন চালুর উদ্বোধন করেন, উদ্বোধন শেষে রেলের উন্নতির জন্য মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন নীলফামারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আশরাফুল হক নুরী।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১ টি কোচ সংবলিত ৭৭৬ টি আসন নিয়ে চিলাহাটি থেকে ভোর ৬ টায় ছেড়ে ঢাকা পৌছাবে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে, ওই দিনে বিকেল ৫ টায় ঢাকা ছেড়ে চিলাহাটি পৌছাবে রাত ৩ টায়।