নীলফামারীর জলঢাকায় চলমান দাখিল পরীক্ষায় বদলি পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার অপরাধে এক পরীক্ষার্থীর ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ময়নুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ মে) ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসা অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই রায় প্রদান করেন তিনি।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মাদ্রাসা কেন্দ্র ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন থেকে মূল পরীক্ষার্থী বামনা বামনী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নাইম ইসলামের হয়ে পরীক্ষা দেন মুকুল ইসলাম। দন্ডিত পরীক্ষার্থী হল, নীলফামারী সদর উপজেলার দুহুলী সবুজপাড়া এলাকার জাহেদুল ইসলামের ছেলে। তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৫শত টাকা জড়িমানা অনাদায় সাতদিনের জেল প্রদান করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী নাইম ইসলাম বামনা বামনী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব আব্দুর রশিদ বলেন, ১৯৯৩ থেকে এই কেন্দ্রে সুনামের সাথে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়ে আসছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে দাখিল পরীক্ষায় এই উপজেলার ২৮টি মাদ্রাসা অংশগ্রহন করেন। আজকে শেষ পরীক্ষা ইংরেজি প্রথম পত্র বামনা বামনী দাখিল মাদ্রাসার একটি ছেলে বদলী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করায় বহিষ্কার ও সাজাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া শুরু থেকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য যারা এই অনিয়মে জড়িত তাদের শাস্তি হউক।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার রবিউল ইসলাম বিষয়টি জানি না বলে এড়িয়ে গেলেও ঘটনার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল ইসলাম বলেন, ট্যাগ অফিসারের ফোনে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। এবং পরীক্ষা চলাকালিন অবস্থায় একজন বদলি পরীক্ষার্থী পাই। বদলী পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক ভাবে আইনের আওতায় এনে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৩ (তিন) ধারা মতে ১ বছরের কারাদন্ড ও ৫ শত টাকা জরিমানা অনদায়ে ৭ (সাত) দিনের জেল দেয়া হয়েছে।