বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ,তাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সাত মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনের সঙ্গেই ছোট একটি টিনের একচালা ঝুঁপড়ি ঘর ও বারান্দায় দীর্ঘদিন থেকে চলছে শিক্ষার্থীর পাঠদান। নেই দরজা-জানালা,নেই বিদ্যুৎ সংযোগ,ঘরের মেঝেতেও রয়েছে ধুলা বালু। শিক্ষকদের বসার জায়গাও নেই।এটি নীলফামারীর ডিমলা নাউতারা ইউনিয়নের কৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিএ।
বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চার কক্ষের একটি ভবন নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে।সাত মাস আগে উপজেলা প্রকৌশলী জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তিনটি শ্রেণিকক্ষে কোনো ক্লাস না হলেও শিক্ষকরা পরিত্যক্ত ভবনের লাইব্রেরি কক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় খাতাপত্র রাখছেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ কন্ঠে বলেন, প্রখর রোদে ক্লাস করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি আসলে বই খাতা ভিজে যায়,ব্যহত হয় পাঠদান। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।এ অবস্থায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। নতুন ভবন দ্রুত র্র্নিমাণ না হলে শিক্ষা কার্যক্রম থেমে যাবে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আকতার বলেন, ভবন না থাকায় আমাদের অনেক কষ্ট করে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে।রোদের কারণে টিনের চালা খুবই গরম হয়,তাপে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটা দিয়ে পানি পরে বই খাতা সব ভিজে যায়,পাঠদান করতে খুব অসুবিধা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরা শারমিন বলেন, ভবন না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গরমের মধ্যে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পাঠদানের সময় অমনোযোগী হয়। এ কারনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
অভিভাবক আব্দুর রশিদ বলেন,বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ নেই। ঝুঁপড়ি ঘর ও বারান্দায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়ালেখা করছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণীকক্ষ না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর থাকবে না।
প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে অনেক কষ্ট করে ১৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান চালিয়ে আসছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টির জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরী।আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছি।