নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি প্রভাবশালী সিন্টিগেটের দখলে। পরীক্ষা এ প্লাস করে দেয়ার নামে দুই শতাধিক শিক্ষাথীর কাছে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। মোবাইল ডিভাইজে প্রতিটি বিষয়ের নৈব্যত্তিক ও রচনামুলক প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। রুমের শিক্ষকে নকল সহায়তা জন্য ম্যানেজ করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয় জানতে পারে কেন্দ্র সচিব প্রত্যাহারের পাশাপাশি নকল বন্ধে ব্যাপক তৎপরতা চালায়।
অভিযোগ উঠেছে মধ্যছাতনাই গ্রামের আব্দুর রহমানের সাথে একটি প্রভাবশালী গ্রুপ ডিভাইজের মাধ্যমে নকল সরবরাহের অযুহাতে শিক্ষাথীদের নিকট টাকা হাতিয়ে নেয়।
নকল সিন্টিগেট গ্রুপটি সিটপ্লান ব্যাপক অনিয়ম করেন। সিট প্লান, ডিভাইসে নকল সরবরাহ, মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগে গত ২ মে খগাখড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মোফাক্কেরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয় উপজেলা প্রশাসন। কেন্দ্র সচিবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহকারী প্রোগ্রামার রেদওয়ানুল রহমানকে। এ ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুন নাহার নুরি আহবায়ক করে তিন সদসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন নকল সরবরাহের সহিত জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে।
সচিবের দায়িত্ব নেয়ার পরের দিন উক্ত কেন্দ্রে সিট প্লান পরিবর্তন করার পাশাপাশি নকল সরবাহ বন্ধ সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেন উপজেলা প্রশাসন।গত ৯ মে গনিত পরীক্ষায় নকল করার সময় ৩টি মোবাইল ডিজাইস আটক করেন কেন্দ্র সচিব । উক্ত ডিভাইসে দেখা যায় পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট পরে নিসাত নামে এক পরীক্ষার্থী নৈব্যত্তিক প্রশ্নটি আব্দুর রহমানকে নিকট ম্যানেন্জারে সরবরাহ করেন। পরীক্ষা শুরুর ২৫মিনিট পর রহমান শতাধিক শিক্ষাথীকে উত্তর পাঠানো হয়। রচনামুলক প্রশ্ন দেয়ার পর আবার প্রশ্নটি রহমানের নিকট পাঠায়। কয়েকবার প্রশ্নগুলোর সমাধান করে সে নিশাতসহ শতাধিক পরীক্ষর্থীকে সরবরাহ করেন। আব্দুর রহমান পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্যছাতনাই গ্রামমের মোকছেদ আলীর পুত্র। প্রাইভেট পগাব অযুহাতে আড়ালে সে দীর্ঘদিন থেকে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করে আসার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পপর থেকে সসে আত্বগোপনে রয়েছে। নকল সরবরাহ করার জন্য প্রতোক শিক্ষাথীর নিকট ৭/৮ হাজার টাকা চুক্তির ভিত্তিতে এসব নকল সরবরাহ করত মর্মে পরীক্ষাথীরা স্বীকার করেন। আব্দুর রহমানের সাথে উক্ত কেন্দ্রের প্রত্যারহারকৃত সচিব, কয়েকজন প্রধান শিক্ষকসহ একটি প্রভাবশালী সিন্টিগেট জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জানা যায় নুর বিদ্যা নিকেতন, আইডিয়াল একাডেমি, প্রত্যাশা কিন্টার গার্ডেনের অধ্যায়নরত ২ শতাধিক শিক্ষাথী সরাসরি ডিভাইসে নকলের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে আসছিল। উক্ত তিনটি প্রতিস্ঠানের পরীক্ষার্থীরা কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তর নাউতরা উচ্চ বিদ্যালয় হতে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতেছে। একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও আব্দুর রহমানকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনটি নকল করার ফ্রেসবুক গ্রুপ এসো হে বন্ধু বন্ধ করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আব্দুর রহমানসহ এবটি সিন্টিগেট চলতি বছর ডিভাইসে নকল সরবরাহের তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদন আকারে জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হবে। পরীক্ষা সিট প্লানে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। জাহেদুল ইসলাম