নীলফামারী জেলা পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, ডাকাতির মালামাল উদ্ধারসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই জেলে পাড়ার ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত সদস্য ও রবি চন্দ্র দাসের ছেলে অনিল চন্দ্র দাস (২৯), জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা জেলে পাড়ার পিতা মৃত্যু কালিদাস রায়ের ছেলে রঙ্গিয়া দাস (৫০), সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষনপুর সরকার পাড়ার কাজিমুদ্দিনের ছেলে নজু মামুদ ওরফে নজরুল (২৭)। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রফতার করে পুলিশ।
এসময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ১টি, সিম কার্ড ১টি, কাসার প্লেট ১টি, কাসার বাটি ২টি ও কাসার গ্লাস ১টি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গত সোমবার (১ মে) জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতার ব্রামন পাড়ার পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তীর বাড়ীতে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনদের জিম্মি করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের আলমারি ভাঙ্গচুর করে নগদ এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ, চার ভরি রুপার অলংকার, কাসার প্লেট ৩টি, কাসার বাটি চারটি ও পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ প্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (২ মে) ডোমার থানায় বিজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে ৩৯৫, ৩৯৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আমিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (প্রশাসন ও অর্থ) আহব্বায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। এছাড়াও অফিসার্স ইনচার্জ, ডিবি, পুলিশ পরিদর্শক, অপরাধ শাখা ও ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবীকে সদস্য করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডাকাতির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অনিল, রঙ্গিয়া ও নজুকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অপরাধ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। কুখ্যাত ডাকাত অনিল চন্দ্র দাসসহ তিনজনেই নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাঁকুরগাঙ এই চার জেলার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বর্তমানে তারা পুলিশ রিমান্ডে আছে।