টেস্ট জয়ের মতো ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে হারানো অতটা সহজ হবে না। তামিম ইকবাল তা ভালো করেই জানেন। দলটির বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে এ চট্টগ্রামে ২-১ ব্যাবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার জিতলেও পুরো সিরিজেই ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে আফগানিস্তান।
ওয়ানডে অধিনায়ক এ সিরিজেও সেরকম কিছু আশা করছেন আফগানদের থেকে। তবে নিজেদের আশা একটুও খর্ব করছেন না। গত বারের মতো এবারও সিরিজ জিততে চান স্বাভাবিক ভাবেই। তবে সেটা ২-১ না হয়ে ৩-০ হলে আরও বেশি খুশি হবেন তামিম।
সাদা বলের ক্রিকেটে আফগানদের সব দলই সমীহ করে। ম্যাচে হার-জিত পাশে রেখে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয় তাদের। এবার দলটি একটু বেশি অভিজ্ঞতা নিয়েই এসেছে বাংলাদেশে। সঙ্গে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাও আছে আফগানদের বেশ কিছু ক্রিকেটারের। যেখানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
নিজেদের কন্ডিশনে সিরিজ জিততে চাওয়া তামিম তাই রাখ ঢাক না করে আফগানদের সমীহ করলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকটা হল গত সিরিজ যেমন ছিল তেমনই থাকবে। কারণ আফগানিস্তান কিন্তু সাদা বলে অন্যতম শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ক্রিকেট দল। গত সিরিজ থেকে কোনো কিছু কম আশা করছি না। অবশ্যই সিরিজ জিততে চাইবো। হয়ত গতবারের মতো ২-১ না হয়ে ৩-০ চাইব। যদি জিততে হয় ওদের সঙ্গে সেরা ক্রিকেট খেলেই জিততে হবে। এমন না যে মাঠে নেমেই জিতে যাব। কারণ ওরা বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণের একটি।’
২০২৩ বিশ্বকাপে ধর্মশালায় আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। তার আগে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে চারটি ম্যাচ খেলা খুব ভাল।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘এটা ভাল যে বিশ্বকাপের আগে এই তিনটি এবং এশিয়া কাপে একটি মোট চারটি ম্যাচ খেলবো। এটা দুই দলের জন্যই দুই দলকে দেখে নেয়ার ভাল সুযোগ। আমরা যেমন ওদের শক্তি-দুর্বলতা বের করতে চাইবো। ঠিক তেমনি ওরাও আমাদের কি ভাল করছি আর কি করছি না সেটা দেখবে। তো এটা বিশ্বকাপের আগে নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নামার আগে ওদের সঙ্গে তিন-চার ম্যাচ খেলা খুব ভাল একটা দিক।’