খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। কৃষকেরা যাতে উৎপাদন খরচসহ কিছুটা লাভ পায় এবং সরকার আপৎকালে দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যশস্য যেন কম দামে ‘খোলাবাজারে বিক্রি’ করতে পারে, এজন্য সরকার খাদ্য মজুতের কার্যক্রম শুরু করছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় এক লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। ধান মজুতের জন্য বড়ো ধরণের কোনো সমস্যা নেই। এছাড়াও খাদ্য গুদাম ও প্যকেজিং-এর জন্য পর্যাপ্ত বস্তা প্রস্তুত আছে।
উপদেষ্টা রবিবার (১৫ই ডিসেম্বর) নীলফামারীর সার্কিট হাউসে ‘চলতি আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫-এর লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন বিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
ধান সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবছরের আমন ধান ও চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা অর্জিত হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ধান যেসব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে তা দিয়ে কিছুটা পুরণ করা যাবে। আর্দ্রতার কারণে ধান সংগ্রহ একটু দুরূহ হলেও চালের অনুসারে পুশিয়ে নেওয়া যাবে।
আমনের দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এবছরে কৃষকদের উৎপাদন খরচ ও লাভ ধরে গতবারের চেয়ে ধান এবং চালের দাম তিন টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার আগেই মজুত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে যাতে জিনিস পত্রের দাম না বাড়ে এজন্য সরকার খোলাবাজারে বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আব্দুল খালেক, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম, রংপুর বিভাগের সকল জেলাপ্রশাসকসহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ উপস্থিত ছিলেন।