বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের নিয়ে স্মরন সভা হয়েছে সৈয়দপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কলেজটির হলরুমে এর আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহীদ শাহাবের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক লোকমান হাকিমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক ও গবেষক এমদাদুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ সাবিনা সালাম।
মূল আলোচক ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের পিতা আলমগীর হোসেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন উক্ত কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট জেলা শাখার মহাসচিব অধ্যাপক আসাদুজ্জামান রাফু, গভর্নিং বডির সদস্য লায়ন আজহারুল সরকার রানা ও ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার সোহাগী প্রমুখ।
স্মরন সভায় হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, সারাদেশের মত সৈয়দপুরেও ১ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট ছিল ভয়াবহ অবস্থা। পুলিশ গুলি করে সৈয়দপুরে দেড় শতাধিক ছাত্র জনতাকে আহত করেছে। এতে চোখ হারিয়েছে ৮ জন। পঙ্গু হয়েছে প্রায় ১৮ জন।
তাছাড়া আমাকে সহ ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে টর্চার করা হয় হাজত খানায়। সেখানে নখ উপরে হাত-পা বেধে মারধর করা হয়। এমন নির্যাতন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও হার মানিয়েছে। পুরো দেশের চিত্র একই ছিল। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আমরা স্যালুট জানাই। তাদের বিসর্জন বৃথা যেতে দেব না।
শহীদ সাজ্জাদের পিতা মো. আলমগীর হোসেন, আমার সন্তান শহীদ হয়েছে দুঃখ নাই, তবে ওই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তবে আমরা শান্তি পাব এবং স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক কর্মচারীসহ, সুধীজন ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক ও চেতনাবোধের সঙ্গীত পরিবেশন করে।